Header Ads

আমির সোহেল-এর রম্য ‘গার্লফ্রেন্ড’


: দোস্ত, আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই!
_ তাতে কী হইছে?
: আমার গার্লফ্রেন্ড ছাড়া ভালো লাগে না।
_ আহারে! আফসোস বন্ধু।
: কলেজ-ভার্সিটিতে পড়লে কত বান্ধবী হতো। পড়ালেখাটাও করা হলো না, কোনো বান্ধবীও আর জুটল না।
_ তাতে শান্তিতে আছিস দোস্ত।
: না, আমার আর এভাবে ভালো লাগে না, আমারও একটা গার্লফ্রেন্ড লাগবে এবার। কীভাবে গার্লফ্রেন্ড বানাতে পারি, পরামর্শ দে।
_ ফেসবুকে মেয়েদের রিকু পাঠা, তারপর চ্যাট করা হবে।
: আরে ফেসবুকে সব ফেক মেয়ে আইডি। রিয়েল গুলার ফ্রেন্ড রিকু অপশনই অফ থাকে।
_ আচ্ছা, তোর ফেসবুক লিস্টে যারা আছে সেই বন্ধুদের পোস্টের কমেন্ট ফলো কর। দেখবি কোনো না কোনো মেয়ে কমেন্ট করছে। তাদের রিকু পাঠা, আর সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন কবির রোমান্টিক কবিতা দিয়ে চ্যাট কর। আস্তে আস্তে হাই, হ্যালো বল। এরপর দেখবি অল্প দিনে ফোন নাম্বার দিয়ে দেবে। দেখাও করবে।
: দোস্ত, ভালো পরামর্শ দিছস। চল তোরে লুচি আর ডাল-ভাজি খাওয়াই।

বিশ দিন পর দুই বন্ধুর আবারও দেখা। পরামর্শ নেওয়া বন্ধু পরামর্শ দেওয়া বন্ধুকে এসে উচ্ছ্বাস আর উল্লাস করতে করতে জড়িয়ে ধরল। আর খুশিতে বাকবাকুম বাকবাকুম করে বলতে লাগল_ তোর পরামর্শে কাজ হইছেরে দোস্ত।
_ কী হইছে, এত খুশি কেন?
: তুই যেভাবে বললি সেভাবে অ্যাপ্লাই করলাম। 
_ তো ফলাফল কী?
: ফলাফল অনেক ভালো। চল, তোকে আজ চায়নিজ খাওয়াব।
_ খাব তো অবশ্যই। আগে বল, বিস্তারিত।
: তোর কথামতো কাজ করে গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলছি, দেখাও হয়ে গেল আমাদের।
_ সত্যি! মাত্র বিশ দিনের মধ্যে দেখাও হয়ে গেল! এক মাসের মধ্যে লিটনের ফ্ল্যাটে যাস না আবার। আচ্ছা, দেখা করছিস যে সেলফি দেখা।
: তোকে দেখাব বলে সেলফি তুলেও নিয়া আসছি! এই যে দেখ... মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে তুলছি!
পরামর্শ দেওয়া বন্ধু মেয়েটির ছবি দেখে চমকে উঠল। তার মাথা ঘুরতে লাগল। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। এ যে তারই গার্লফ্রেন্ড! 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.